এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান খ্যাত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২

এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান খ্যাত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত

এনামুল হক নিলু:; বিনম্র শ্রদ্ধা, হে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ জাতীয় নেতা। বয়স যাই হয়েছে তার অর্ধেকের উপরে রাজনৈতিক সমাজেই সম্পৃক্ত আছি,লাভে, লোভে,পেটের দায়ে বা ঈমান বিসর্জন দিয়ে নয়,বরং সুদিন দুর্দিনে আওয়ামী আদর্শের সাথেই ছিলাম, আছি,থাকব।

এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান খ্যাত জাতীয় নেতা বাবু শ্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সান্যিধ্য বা স্নেহ পেয়েছি অনেক, উনার কল্যাণেই দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতিমান লিডার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে কিন্তু ঠিক সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের অবিকল কোন নেতা আজও অন্তরের চোখে আসেনি। তাঁর শুধু হাটাতেই যে শিল্প ছিল, তা খতিয়ে দেখা শিল্প বিচারকদের জন্য বিরল।

কথা বলার ভংগিমা যেন মধুর সুরে আদর বিলানো,চেনা অচেনা মানুষগুলো টায় দাড়িয়ে দেখে না দেখে শুনে, কখন সকাল, দুপুর গড়িয়ে গেছে ঘড়ি থাকিয়ে হতভম্ব হতো।বক্তব্যের জন্য বাংলার তানসেন খ্যাত সুরঞ্জিত সেনকে আজও মানুষ বরেণ্য বক্তাদের সাথে তুলনা করে উনাকেই এগিয়ে রাখে।তদবির নিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর নাম,পরিচয়, গুষ্টি, বাড়ির বর্ণনার মধ্য দিয়ে খুশি করে চিরতরে আপন করে নেয়ার ক্ষমতা আজও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে রাজনৈতিক গল্পের অর্ধাংশ। বিশ্ব মোড়লদের উদ্যোগ যদি উন্নয়নশীল কোন দেশের উদ্রেক উৎকণ্ঠাযুক্ত হয়, নির্দিধায় পূর্বেই আঁচ করে একান্ত আন্তরিকদের ওয়াকিবহাল করে মিলিয়ে দেখতে বলতেন, হতোও তাই।নতুন কেউ গ্রামাঞ্চল থেকে ফোন করলে, সে বয়সে যাই হোক শেষান্তে আমার নেতা সম্ভোধন করার মধ্য দিয়ে তার ভালবাসা ও আশির্বাদ কোড়ানোতে অকৃপণ ছিলেন। হাড়িতে প্রায়ই ঘুমাতেন কিন্তু আমরা যারা সাথে, তাদের কার কয়টা ফোন আসল, কি কথা হল মজা করে বলতেন। দাওয়াত খেয়ে যে খুব মজা হয়েছে, এর আগে এত মজা খাওয়া হয়নি, সেটা জুড়ে বলার পরামর্শ দিতেন, তিনিও মাঝে মধ্যে মজা করে জুড়ে বলতেন যাতে গৃহিনী পর্যন্ত পৌঁছে, এবং দাওয়াত খাওয়ানোর তৃপ্তি খোঁজে পায়।

কে কোন এলাকার, কার ভোট কোথায় এ নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল না,আমাদেরকেও পরামর্শ দিতেন, যাতে আঞ্চলিকতা মনে পোষণ না করি, উনার থিম ছিল শুধু মানুষকে ভালবাসার মধ্য দিয়েই নেতা এবং নেতৃত্ব। লাখো না জানা তথ্য সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব থাকা স্বত্ত্বেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইন, প্রতিটি অক্ষর উনি খুব গুরুত্বের সহিত বিশ্লেষণ করতেন।

টি.আই.বি একবার পুরো জাতীয় সংসদ নিয়ে একটা অত্যুক্তি করেছিল, যা এর আগেও বিভিন্ন সরকারের আমলে করেছে, কিন্তু এক পর্যায়ে বাবু শ্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের কাছে এই বিষয়টি আসলে, প্রথম দেশের মানুষ বুঝতে পারে যে ট.আই.বি মানেও একটি সামান্য এনজিও সংস্থা এবং এরা জবাব দিহিতার উর্ধ্বে নয়, এর আগে এদেশের সাধারণ মানুষ ভাবত, টান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মানে আমেরিকা বৃটেনের মতো ক্ষমতাধর কিছু।মিডিয়ায় নিজস্ব বাচন ভংগিতে কথা বলতেন, তাই বাসা থেকে বের হয়ে অফিস যাওয়া বা অফিস থেকে বাসায় ফেরা কোন ভাবেই সাংবাদিক এড়ানো যেত না।

দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর ইস্যুতে কথা বলতে না চাইলেও অনেক সাংবাদিক মজা করে স্যার না বলে দাদা বলে কথা আদায় করতেন। ৭২সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহবানে সারা দিয়ে যে সংবিধান রচনার অন্যতম একজন ছিলেন, ২০১৫ সালে জাতির জনক’র কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে নানা প্রতিকূলতা এড়িয়ে চেড়া কাটা ক্ষত-বিক্ষত সংবিধান সংশোধন করেছেন অসুস্থ শরীরকে গুরুত্ব না দিয়ে।

মহান জাতীয় সংসদে উনার দেয়া বক্তব্য গুলো আজও অনলাইনে সুরেলা বাঁশীর মত রাজনীতি প্রেমী মানুষের মনের খোরাক। ৫ম প্রয়াণ দিবসে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোনে নক্ষত্র সম এই নেতার জন্য সকলে আশির্বাদ প্রত্যাশা করি।

লেখক… সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক কর্মী।
সহ-সভাপতি
জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট মহানগর

এবিএ/৪ ফেব্রুয়ারী

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল