বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নে সরকারি লীজের জমি থেকে ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর শনিবার (৫ মে) রাত আনুমানি ৮টার দিকে থানা পুলিশ প্রধান আসামিসহ ৪ জনকেগ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে তিনজনকে বড়লেখা উপজেলা হাসপাতাল থেকে ও প্রধান
আসামিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের
রোববার (৬ মে) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের মৌলভীবাজার জেলা
করাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ণি জাতীয়তাবাদী ফোরাম নামে একটি
সমাজসেবামূলক সংগঠন এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কয়েকজন কৃষকের
সহযোগীতায় ২০ একর সরকারি খাস জমি লীজ নিয়ে ধান চাষ করছিলেন। সম্প্রতি
স্থানীয় বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিএনাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহিম এলাকায় ঘোষণা দেন ওই ২০ একর জমি তারা সরকার থেকে লীজ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে শুক্রবার (৪ মে) সকালে বর্ণি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মুকিতসহ নেতৃবৃন্দ লীজকৃত ভূমিতে ধান কাটতে গেলে বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনাম উদ্দিন লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি
নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায়
শুক্রবার (৪ মে) দিবাগত রাতে বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা
আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনাম উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে বর্ণি ইউনিয়ন
ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মুকিতকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে
জোরপূর্বক ধান কেটে নেওয়া ও তাকে (এনাম উদ্দিনকে) হত্যা চেষ্টার অভিযোগে
বড়লেখা থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৫ মে) রাতে
বড়লেখা থানা পুলিশ প্রধান আসামি বর্ণি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল
মুকিতসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতা ও বর্ণি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মুকিতের স্বজনের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান দলের ক্ষমতা কাটিয়ে অন্যায়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বৈধ লীজকৃত জায়গা দখল করতে হামলা করেন। কিন্তু পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো হামলাকারী চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে তাদের মামলা রেকর্ড করে এবং আমাদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান রোববার (৬