অস্ত্রসহ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার, এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২১

অস্ত্রসহ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার, এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: বড়লেখায় একটি রিভলবারসহ নবজাগরণ সংগঠনের সভাপতি এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আব্দুর রহিম বড়লেখা সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামের মো. আজিজুর রহমানের ছেলে। গত শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মো. আব্দুর রহিমের দোকান তল্লাশি করে পুলিশ রিভলবার উদ্ধার ও তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় ওইদিন বিকেলে তাকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে নবজাগরণ সংগঠনের সভাপতি এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলক এবং তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে মো. আব্দুর রহিমের দোকান তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আব্দুর রহিমের দোকান তল্লাশি করে কালো ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় পুলিশ একটি রিভলবার উদ্ধার ও তাকে (রহিমকে) গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. আব্দুর রহিম আসন্ন ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এখানে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছালেহ আহমদ জুয়েল। আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নবজাগরণ সংগঠনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি চা শ্রমিক ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছেন। এজন্য স্থানীয়ভাবে তিনি খুবই জনপ্রিয়। তার এই জনপ্রিয়তায় ভোটে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হতে পারে, এ জন্য নৌকার প্রার্থীর লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসাতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

 

নবজাগরণ সংগঠনের নিন্দা: নবজাগরণ সংগঠনের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রিভলবার দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজয় দাস ও দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় নায়েক।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল মজিদ বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত। তিনি যখন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তখন থেকেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। এরআগেও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ভাইকে জেল খাটানো হয়েছে। এবার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দোকানে অপরিচত লোক দিয়ে অস্ত্র রেখে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।

বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল