ডাকসুতে ভোট উৎসব আজ

প্রকাশিত: ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

ডাকসুতে ভোট উৎসব আজ

ডাকসুতে ভোট উৎসব আজ

 

 

ইতিহাস গড়বেন কারা

অনলাইন ডেস্ক

সব শঙ্কা আর জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে স্মৃতিবিজড়িত এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কে হবেন কান্ডারি, ভোটযুদ্ধে সে উত্তর মিলবে আজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার ছাত্রছাত্রীরা ব্যালটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করবেন তাঁদের প্রতিনিধিদের। ক্যাম্পাসের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার সব চুলচেরা বিশ্লেষণের অঙ্কটাও মিলবে আজ। ছয় বছরের অপেক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩৮তম ডাকসু নির্বাচন। এ বছর ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭০ জন প্রার্থী। ১৮টি হলের প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ১০৮ জন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। ৮টি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটাররা ডাকসু ও হল সংসদের মোট ৪১টি পদে ভোট দেবেন। এজন্য ভোটাররা সময় পাবেন ৮ মিনিট।

প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ২৮ বছর পর। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর আর ডাকসু নির্বাচন দিতে সাহস করেনি স্বৈরশাসক হাসিনার আজ্ঞাবহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আজ নির্বাচন হচ্ছে ডাকসুর। ছয় বছর পর এ নির্বাচন আয়োজনে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই।

এই নির্বাচন যেমন তোলপাড় সৃষ্টি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, তেমনিভাবে সারা দেশের মানুষ উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ডাকসু নির্বাচনের দিকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে এবারের ইতিহাস গড়বেন কারালড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। সহসভাপতির শীর্ষ এই পদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাদিক কায়েম ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমার মধ্যেই মূল লড়াই হবে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সরব থাকা প্রার্থীদের পক্ষেই ভোটাররা তাঁদের সমর্থন দেবেন এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

গতকাল সরেজমিনে ক্যাম্পাসে দেখা গেছে, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল ভোটের আমেজ। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি ডাকসু ভবনের সামনে ছিল শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হওয়ায় প্রার্থীদের গতকাল দেখা যায়নি কোনো নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে। তবে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে মধুর ক্যানটিনের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরাও।

তথ্যমতে, ডাকসুর ভোট গ্রহণে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মোট ৮টি ভোট কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও। গত রবিবারই নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হওয়ায় প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে গতকালও তাদের প্রচারণা চালিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৭ শতাংশ ছাত্রী এবং ৩৪ শতাংশ ছাত্র ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন। এই অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে। তবে শঙ্কা রয়েছে তাঁদের ভোট প্রদানের আগ্রহ নিয়ে। বিশেষ করে অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের ভোট নিয়ে আগ্রহ তুলনামূলক কম। তবে ছাত্রী হলগুলোতে বিভিন্ন প্রার্থীরা জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচার চালানোয় ভোটে অংশগ্রহণ বাড়বে বলে ধারণা করছেন প্রার্থীরা। তাঁদের ধারণা যদি ৯০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্টিং হয় তবে বদলে যাবে ইতোপূর্বে তৈরি হওয়া সব সমীকরণ। কারণ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের জরিপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ভোটারদের মধ্যেও।

ডাকসু নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী শামিম আরা আক্তার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে এমনই প্রত্যাশা। আমরা চাই প্রতি বছর নিয়মিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, আমাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে কেউ আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলুক।’
ঢাবিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা -জয়ীতা রায়
ঢাবিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা -জয়ীতা রায়

আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ডাকসুর ব্যালট যুদ্ধ। এরপর শুরু হবে ভোট গণনা। প্রতিটি কেন্দ্রে আলাদা করে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করবে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে মধ্যরাত পর্যন্ত।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাতায়াত নিশ্চিতে বিশেষ চক্রাকার শাটল সার্ভিস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত শাটল সার্ভিস চলবে। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে আজ পুরো দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এ ছাড়াও নির্বাচন ঘিরে গতকাল রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া টানা ৩৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে, যা আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন।

নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান উপাচার্যের : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে ভোট দিতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ডাকসু তোমরা চেয়েছ; গভীরভাবে প্রত্যাশা করেছ; গণ অভ্যুত্থানের মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণও। গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সমন্বিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভয়েস তৈরি করার জন্য এটা জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ এসব মূল্যবোধকে তুলে ধরার জন্য ডাকসু নির্বাচন। নির্ভয়ে তোমরা ভোট দিতে আসবা, আমরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি।

গতকাল বিকালে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ ভিডিওবার্তা দেওয়া হয়। উপাচার্য বলেন, সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা শুভ কামনা জানাচ্ছেন। এখন একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তরণের প্রক্রিয়াকে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে যে কাজ করছে, তাতে তোমরা তোমাদের ভূমিকা পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, ভোট কেন্দ্রে আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তারা নির্ভয়ে এসে ভোট দিতে পারবে। সারা দেশ তোমাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সেই বিশ্বাসের প্রতিদান তোমরা দেবে।

ডাকসু নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হবে : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পুরো পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন ক্যাম্পাসে ১ হাজার ৭৭১ জন পুলিশ নিরাপত্তায় কাজ করছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ২ হাজার ৯৬ জন সদস্য থাকবে। এর বাইরে র‌্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও থাকবে। গতকাল বিকালে টিএসসিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা জানান। ডিএমপি কমিশনার জানান, সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে লাইসেন্সধারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে অস্ত্র বহন করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা : এর আগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যতীত অন্য কেউ বৈধ বা লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার সর্বসাধারণের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমিত থাকবে।

মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস বন্ধ থাকবে। তবে শাহবাগ ও সচিবালয় স্টেশন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশদ্বার ও ভোট কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয় পত্র, হল পরিচয় পত্র (আবাসিক, দ্বৈতাবাসিক ও অনাবাসিক) গ্রন্থাগার পরিচয় পত্র, পে-স্লিপ (শুধু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী) যে কোনো একটি পরিচয় পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয় পত্র QR Code scanning-এর মাধ্যমে Verified DUCSU Voter Confirmation প্রদর্শন করবে। ভোটার নম্বর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভারে ভোটার যাচাই করা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার যারা এ সময় ব্যবহার করতে পারবেন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাংলা একাডেমি ও পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

বিডি প্রতিদিন

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল