নগরে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে চলবেনা অবৈধ যান, থাকবেনা অ বৈ ধ স্ট্যা ন্ড : পুলিশ কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার সিলেটের পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে এক সপ্তাহের সময় বেঁেধ দিয়েছেন নবাগত পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট নগরীতে অবৈধ কোন যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা এবং নগরীতে কোন অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবেনা বলেও হুশিয়ার দেন তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে রোববার সিলেটের পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী উপরোক্ত হুশিয়ারী প্রদান করেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগ থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এসএমপির মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, সভায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশ কমিশনার তা সমাধানে আশ্বাস প্রদান করেন।

সভায় উপস্থিত পরিবহন সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাখতে হলে সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনোভাবেই অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি, ডুপ্লিকেট লাইসেন্সধারী ও চোরাই গাড়ি, অবৈধ অটোরিকশা এবং অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত স্ট্যান্ড ব্যতীত কোনো যানবাহন যত্রতত্র পার্কিং করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল অবৈধ যানবাহন মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা হবে। এতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাহির থেকে নগরীতে আগত যাত্রীদের নির্দিষ্ট কিছু গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হয়। এজন্য সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিদিন বিকাল ৫ ঘটিকা হতে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত সকল সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকবে। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত নগরীতে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান প্রবেশ করতে পারবে। এই সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো কাভার্ডভ্যান, ট্রাক শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। ছিনতাই কাজের সাথে জড়িত ড্রাইভারদের অবৈধ গাড়ি গুলো সরাতে পারলে অপরাধ কমে আসবে। আমরা আমেরিকার মতো একটি ব্যবস্থা করব- পরপর তিনবার জরিমানার শিকার হলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমাদের সব সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য জনগণকে নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়া। এই সিদ্ধান্তে কারো সুবিধা হবে, কারো অসুবিধা হতে পারে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এটি মেনে নেওয়া প্রয়োজন। সিলেট মহানগরীকে একটি নিরাপদ ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভায় এসএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।