মিলু নেইঃ শূন্যস্থান পূরণ হবে তো?

প্রকাশিত: ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

মিলু নেইঃ শূন্যস্থান পূরণ হবে তো?

মিলু নেইঃ শূন্যস্থান পূরণ হবে তো?

গিয়াস উদ্দিন আউয়াল

 

যারা আমাদের ভালোবাসা ও প্রাণের মানুষ তারা একে একে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তা কোনও অবস্থায় সুখকর নয়। সদ্য বিদায় নিলেন সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের পরিচিত প্রিয়মুখ ছড়াকার, প্রগতিবাদী কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিশু ও ভ্রমণ সাহিত্যিক, সংগঠক সৈয়দ আবুল কাসেম মিলু(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সৈয়দ আবুল কাসেম মিলু ‘মিলু কাসেম’ নামে সমধিক পরিচিত। আমার সাথে তার পরিচয় ১৯৭৪ সাল থেকে যুগভেরীতে কর্মরত থাকাকালীন সময়। যুগভেরীর নির্বাহী সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় তখন শাপলার মেলার সদস্য হিসেবে মিলু কাসেম নিয়মিত ছড়া-কবিতা লিখতেন।
< যাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ব করবো বা গর্ববোধ করি তাদের সকলকে হারিয়ে আমরা নিঃশ্ব হতে চলেছি। ইতোমধ্যে আমরা হারিয়েছি সাংবাদিক মহিউদ্দিন শীরু, আজিজ আহমদ সেলিম এবং অজয় কুমার পাল(অজয় পাল)-কে। এদের শোক কাটতে না কাটতে আজ আবার হারালাম মিলু কাসেমকে। এ-সব গুণীদের প্রস্থানে যে শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে, তা পূরণ হবে তো? এবং কতদিনে?
< মৃত্যু চিরন্তন সত্য। এতে কারও হাত নেই। শাস্ত্রে আছে,
‘ জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে – এই তিন বিধাতা নিয়ে।’ সমাজে এমন কিছু মৃত্যু আছে, যা শুধু পরিবার পরিজন বা আত্মীয় কুটুমদের কাঁদায় না, কাঁদায় বন্ধু-বান্ধব, সমাজ ও পুরো অঞ্চলের মানুষকে।
< মিলু কাসেম ছিলেন এমনি এক ব্যক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি যার তুলনা তিনি নিজেই। সদালাপী, সদাহাস্য, প্রাণবন্ত, বিনয়ী, বন্ধুবৎসল, অসাম্প্রদায়িক
চেতনার মুক্ত মনের মানুষ মিলু কাসেম ছিলেন সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সামাজিকতায়ও অগ্রসর।
< বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী আবুল কাসেম মিলুর অকস্মাৎ মহাপ্রয়াণের খবরে গোটা সিলেট অঞ্চলের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সংবাপত্র জগতে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।
< আমি তার মৃত্যুতে শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা। মহান আল্লাহ তার পরিবারের সদস্যদের শোক সইবার ক্ষমতা দান করুন। এবং আল্লাহপাক তাকে বেহেশতের বাগানে চিরশান্তিতে রাখুন। আ-মিন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল