প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠক রাতে

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠক রাতে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শনিবার রাতে বৈঠকে বসতে পারেন। শুক্রবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে আসছেন বলে শুনেছি। তার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার অপেক্ষায় আছি। দেখি আগামীকাল রাতে হয় কি না?

গঙ্গা ব্যারাজ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটা করতে চাই। দুই বাংলার জনগণের স্বার্থে এবং ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেই করতে চাই।

অপরদিকে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। দেখি কী হয়। তবে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তা চুক্তি সই নিয়ে এখনই নতুন আশা তৈরির সুযোগ নেই। তিস্তা চুক্তি সইয়ের জন্য আরো সময় প্রয়োজন বলে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে দুপুরে দিল্লির পালামের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দিল্লিতে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গণ্যমান্য ভারতীয় ব্যক্তি ও দেশী-বিদেশী সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ ঘটনায় তিনি অভিভূত। তিনি আরো বলেন, এত বড় দেশের প্রধানমন্ত্রী, এত ব্যস্ততা তার। তারপরেও তিনি গেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, দুই দেশের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিগুলোর অন্যতম হবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার রূপরেখা। ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল তাদের প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ‘যথেষ্ট গুরুত্ব’ দেয়ার কথা বলছে বারবার। এবার প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমবেশি ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। তৃতীয় দফায় বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে ৫০০ কোটি ডলার দিতে যাচ্ছে ভারত।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল