২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০১৯
সিলেটের দিনকাল:: সিলেট সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবী আদায়ের লক্ষ্যে লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন। দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানী ভাতা মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে পর্যায়ক্রমে উন্নীতকরণসহ অন্যান্য ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রতিষ্টানের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাবী সম্বলিত এ কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, দ্বিতীয় শিফটের ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও অদ্যাবধি সম্মানজনক সমাধান দেওয়া হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দাবী আদায়ের লক্ষকে সামনে রেখে আমরা সিলেট সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। তারা আরও বলেন, চলমান এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফটের সব ধরনের ক্লাস, রুটিন তৈরিসহ অন্যান্য অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারা জানান, প্রতিদিন দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে ব্যানারসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
কর্মসূচিতে সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচী শুরু করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সিলেট শাখা সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা দেশের সকল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচী পালন করছি। আমরা ১৩ মাস ধরে দ্বিতীয় শিফটের ভাতা উত্তোলন করছিনা। এতদিন অপেক্ষা করার পরও চলমান সংকট নিরসন না হওয়ায়, আমাদের এ কর্মসূচী পালন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করছি শিক্ষা বান্ধব বর্তমান সরকার শীঘ্রই এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করবেন। আর শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার ক্ষতির সম্মূখিন হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বিতীয় শিফটের ছাত্র-ছাত্রীদের হতাশার কিছু নেই। তাদের কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। দাবী পূরণ হলেই দ্বিতীয় শিফটের সকল কার্যক্রম শুরু করা হবে। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কামনা করিনা। সমাধানের কারনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হতে দেড়ী হলে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় দিয়ে হলেও তাদের ক্ষতি পুরন করে দেওয়া হবে বলে অন্যান্য শিক্ষকরা জানান।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ২০১৫ পে-স্কেল অনুযায়ী বেসিকের ৫০ শতাংশ হারে ভাতা পেয়ে আসলেও, জুলাই ২০১৮ থেকে অজ্ঞাত কারনে ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী সরকারি আদেশ হওয়ায় ১৩ মাস যাবত তারা কোন প্রকার ভাতা নিচ্ছেন না। তাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে বলে মনে করছেন দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবী, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে চলমান দ্বিতীয় শিফট ভাতা চালু এবং অনতিবিলম্বে দ্বিতীয় শিফটে সম্মানী ভাতা মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে পর্যায়ক্রমে উন্নীতকরণ করতে হবে।
সিডি/২আগস্ট ১৯/পিআর /বিপ্লব-১
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D