সদর হাসপাতালে ‘ছালা বাবা’র উপদ্র প্রলোভন দিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা

প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৯

সদর হাসপাতালে ‘ছালা বাবা’র উপদ্র প্রলোভন দিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে শাহ্ হায়দার আলী ওরফে ছালা বাবা রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিযে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তার অদ্ভুদ রুপ আর ভঙ্গিমা দেখে অনেকে ভয়ে আথকে উঠেন। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারে বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা। সেই সাথে দ্রুত তাকে এখান থেকে বিতারিত করার দাবি জানান তিনি। গতকাল দুপুরে হাসপাতালে গেলে দেখা যায় ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে বসে বিভিন্ন ভঙিমা প্রদর্শন করছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনদের ডেকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলছে। আবার তার কথা মতো কাজ না করলেই দিচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অভিশাপ। এতে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা। এছাড়া বিভিন্ন সময় নিজের প্রয়োজনে সহজ-সরল বৃদ্ধ পুরুষ ও নারীদের ধরে টানা-হেছড়া করছে। ধমক দিয়ে অনেক রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার অভিযোগও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ্ হায়দার আলী। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। সারা শরীরে পাটের তৈরী ছালা জড়িয়ে রাখায় অনেকে তাকে সালা বাবা নামে ডাকেন। সেই সাথে ঝিঞ্জিল ও তালা ঝুলিয়ে রেখে নিজেকে তাত্ত্বিক বলে দাবি করছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি আস্তানা গড়ে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে। তাও ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে বসেই তিনি এ প্রতারণা করে থাকেন। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এ ব্যাপারে ছায়া বেগম বলেন- ‘হাসপাতাল আসলেই ছালা বাবার দেখা পাওয়া যায়। তিনি আমাদেরকে এমনভাবে প্ররোচনা দেখান যে আমরা তার কথা প্রলোভিত হয়ে টাকা পয়সা দিয়ে যাই। বিশেষ করে যারা গ্রামাঞ্চল থেকে আসে তারা বেশি প্রতারণার শিকার হন।’ রুজিনা বেগম নামে এক নারী বলেন- ‘তিনি বিভিন্ন সময় এমন কা- করেন যা বলার মতো না। টাকা-পয়নার জন্য তিনি সাধারণ মানুষেকে নিয়ে টানা-হেচরা শুরু করে দেন। এতে নাজেহাল অবস্থায় পরেন রোগী ও স্বজনরা।’ তিনি বলেন- ‘তিনি হাতে চুকালো একটি বল্লম নিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেন। এতে অনেকেই ভয় পেয়েও টাকা দিয়ে থাকেন।’ এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন বলেন- ‘সে কয়েকদিন ধরে ছালা পড়ে বল্লম নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যারা তার প্রলোভনের ফাঁদে না পরেন তাদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।’ তিনি বলেন- ‘এ ব্যাপারে আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর থানায় অভিযোগ দেব।’ এই উন্নয়ন কখনো আমাদের জন্য শতভাগ সফলতা বয়ে আনবে না। কারণ এই রাস্তাটি আরও উঁচু হলে বর্ষায় হাওরের পানির গতিরোধ করবে। পানি আন্দোলিত হতে পারবে না। ফলে হাওর অঞ্চলে বন্যা ও খড়াসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেবে। একই সাথে কমে আসবে আমাদের হাওরের সম্পদও। অথচ এখানে হাওরের পানির গতিরোধ না করে রাস্তার ব্যবস্থা করলে অনেক ভালো হতো। যা উন্নত দেশগুলো করছে। উদাহরণ সরূপ- এখানে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করলে একদিকে যেমন হাওরের উপর এর প্রভাব পরত না, তেমনি একটি পর্যটন এলাকায় পরিণত হতো এলাকাটি। প্রতিবছর সরকার পর্যটন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারত। শুধু এই হাওয়রই নয়, সারাদেশে হাওরের বুক ছিরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা। ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাড়ছে। প্রতিবছিই খড়া, আগাম বন্যাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাওরের জনগোষ্ঠি। কমে আসছে দেশের নদ-নদীর সংখ্যা।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল