আমিরাতে মৃত্যু, এক মাসেও লাশ পৌঁছেনি মৌলভীবাজারের যুবকের

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৯

আমিরাতে মৃত্যু, এক মাসেও লাশ পৌঁছেনি মৌলভীবাজারের যুবকের

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের এক মাস পেরিয়ে গেলেও দেশে এসে পৌঁছেনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আজাদ মিয়ার লাশ। পরিবারের অভিযোগ সেখানকার বাংলাদেশি দূতাবাস এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ না নেওয়া লাশ দেশে ফেরত আসছে না।

গত ২৫ জুলাই দুপুরে আল-আইন শহরে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় আজাদ নিহত হন। আজাদ কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেগ গ্রামের মৃত উস্তার মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, আরব আমিরাতে গিয়ে দেশটির চলমান আইন অনুযায়ী বিজনেস পেশায় (এক্বামা) আইডি লাগান আজাদ। পরে সেখানে বৈধভাবে কাজ শুরু করেন। গত ২৫ জুলাই আল-আইন শহরে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় আজাদ নিহত হন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর এক মাস পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশি দূতাবাসের অবহেলার কারণে আজাদের লাশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। সেখানকার বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানালেও দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

নিহত আজাদের মা রোকিয়া বেগম বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে অমানবিক আচরণ করছেন। তার বৈধ সব কাগজপত্র থাকার পরেও সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা লাশ দেশে পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

এদিকে সংযুক্ত আরত আমিরাতের জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাচ্চুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাষ্ট্রদূত বেলাল উদ্দিনকে আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। তবে রাষ্ট্রদূত সরকারি খরচে লাশ দেশে পাঠাতে অপারগতা জানান বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

নিহত আজাদের বোন সাজনা আক্তার জানান, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আজাদ মিয়া তৃতীয়। আজাদ অবিবাহিত। বড় ভাই ও দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি