আমার ছেলে চুনারুঘাটে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলো, সে আবরার হত্যার সাথে জড়িত নয়

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৯

আমার ছেলে চুনারুঘাটে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলো, সে আবরার হত্যার সাথে জড়িত নয়

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন অভিযুক্ত আসামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার মা।

তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এমন দাবি করে মুন্নার মা কুলসুমা আক্তার শেলি জানান, ঘটনার রাতে মুন্না তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলো। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় মুন্না বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

মুন্নার মা বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে সন্দেহজনকভাবে। আমার ছেলে এমন বর্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।

বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আজ আবরারের স্থলে আমার ছেলে মারা গেলেও আমি পুত্রহারা হতাম। আমি এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

মঙ্গলবার মুন্নার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পিতা প্রয়াত আহাদ আলী মেম্বার ছিলেন বিএনপির একজন কর্মী। তারা পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থক। এ পরিবারের সন্তান ইশতিয়াক মুন্না বুয়েটে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বনে যান।

আবরার হত্যায় মুন্না জড়িত থাকার বিষয়টি গ্রামের বাড়ি চুনারুঘাটে জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই তাকে চুনারুঘাটের কলঙ্ক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কুলসুমা আক্তার আরও জানান, গত শনিবার বিকালে তার ৩ ছেলেকে নিয়ে চুনারুঘাটের ঘরগাঁও গ্রামে পীর মোর্শেদ কামালের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসেন। রবিবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় বুয়েটের ইশতিয়াক মুন্না বাসযোগে ঢাকায় চলে যান।

একই গ্রামের ডা. মুসলিম উদ্দিন বলেন, ইশতিয়াক মুন্নারা ৩ ভাই। সবাই মেধাবী। মুন্না গ্রামের ঘরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ২০০৮ সালে তারা বাবা মারা যান। পরে বিবাড়িয়া জেলায় মায়ের কাছে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকায় ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে পাস করে বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। বড় ভাই আশরাফ আহমেদ মনির সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লে. হিসেবে যোগদান করে এখন ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ভাই ইফতেখার আহমেদ রানা শাবিতে পড়ালেখা করছে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি