শ্বশুরবাড়িতে অনশনে নববধূ

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯

শ্বশুরবাড়িতে অনশনে নববধূ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেছেন এক নববধূ। শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু করে শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনশন আছেন ওই নববধূ।

উপজেলার শমশেরনগর ইউপির কেচুলুটি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক গত ৪ সেপ্টেম্বর একই ইউপির বড়চেগ গ্রামের শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। কিন্তু স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি না নিয়ে বাবার বাড়ি রেখে যান আবু বক্কর। এর মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন আবু বক্কর। স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বললে বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন স্বামী।

এরই মধ্যে বিয়ের দুই মাস না যেতেই শারমিন আক্তারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আবু বকর। ওই টাকা দিতে না পারলে শারমিনকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

এরপর শুক্রবার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেন শারমিন। কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলেও শারমিনকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক ও দেবর মোহাম্মদ মুন্না মিয়ার নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শারমিন।

শারমিন আক্তার বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে সে। কয়েক মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাত করায় আবু বক্কর। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমাকে বিয়ে করে সে। কিন্তু বিয়ের দুই না যেতেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেই সঙ্গে যৌতুকের টাকা না দিলে ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেছি।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি আসলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত আমাকে ঘরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির দরজায় বসে আছি। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।

এ বিষয়ে শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহম্মদ বলেন, সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু উভয় পক্ষ সালিশ না মানায় আইনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বলেছি।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আমজির হোসেন বলেন, অনশনরত গৃহবধূর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।