সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এবারের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফারজানার। এতে তার জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দুটি বছর। অথচ সে নবম ও দশম শ্রেণি পার হয়ে নির্বাচনী পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছে।
পরীক্ষা দিতে না পারার খবরে ফারজানা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সে জেএসসি ফেল করার তথ্য গোপন করে স্কুলে ভর্তি হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না।
বিষয়টি ফারজানার নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে ঘটেছে সেটিই এখন দেখার পালা। তবে ফারজানা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।
ফারজানা উপজেলার চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে এবং গেড়ামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সামনে আসে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফারজানা ২০১৭ সালে গেড়ামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণির মানবিক শাখায় ভর্তি হয়। নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন শেষে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। এবারের এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র দেওয়া হয় ফারজানাকে। নির্বাচনী পরীক্ষায়ও সে সাফল্যের সঙ্গে পাশ করে। পরে তার এসএসসির ফরম পূরণের জন্য চার হাজার ২৫০ টাকা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ফারজানা জেএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। ফলে সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না এবং তাকে ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ঘটনাটি জানার পর ফারজানা ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ফারজানার বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘নবম-দশম শ্রেণিতে দুবছর লেখাপড়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন জানাচ্ছে আমার মেয়ে জেএসসি পরীক্ষায় পাশ করে নাই। এখন মেয়ের জীবন থেকে দুটি বছর হারিয়ে গেল। কে নেবে এ ভুলের দায়ভার?’
এ বিষয় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানতাম না। এটা শ্রেণি শিক্ষক ফিরোজ আল মামুন জানেন।’
এদিকে ওই শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ফারজানা তথ্য গোপন করে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। কীভাবে ভর্তি হয়েছে বিষয়টি অফিসের ক্লার্করা ভালো বলতে পারবেন।’
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে প্রায় সবারই একই প্রশ্ন, ফারজানা যদি জেএসসি ফেল করে থাকে তাহলে সে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হলো কীভাবে? তবে এ ঘটনার জন্য ফারজানা কিংবা বিদ্যালয়ের যেই দায়ী হোক না কেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ আজ শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ নিয়ে ফারজানা ও তার এলাকার কিছু লোক আমার কাছে এসেছিলেন। যদি সে জেএসসিতে অকৃতকার্য হয়ে থাকে তাহলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
জেএসসিতে ফেল করে কীভাবে ফারজানা নবম শ্রেণিতে ভর্তি হলো এবং এজন্য কে দায়ী তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ শিক্ষা কর্মকর্তা।
ডেস্ক রিপোর্ট
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি