কুলাউড়ায় প্রবাসে থাকা দুই সহোদরের বিরুদ্ধে সৎ মায়ের কুটচাল

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯

কুলাউড়ায় প্রবাসে থাকা দুই সহোদরের বিরুদ্ধে সৎ মায়ের কুটচাল

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় প্রবাসে অবস্থান করা দুই সহোদরের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও কুটচাল করছেন তাদের সৎ মা রওশন আরা চৌধুরী। প্রবাসে থাকা সৎ ছেলেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেছেন তিনি। ভিত্তিহীন এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার বিছরাকান্দি গ্রামের মাসুকুল ইসলাম চৌধুরীর প্রথম স্ত্রীর ঘরে মাহেরুল ইসলাম জিলানি ও মাহদি ইসলাম নাজি নামে দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ার পর তিনির প্রথম স্ত্রী ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মাসুকুল ইসলাম চৌধুরী দ্বিতীয় বিয়ে করলে এক পুত্র সন্তানের জন্মের পর বিগত প্রায় চার বছর আগে মাসুকুল ইসলাম চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

জানা যায়, সম্প্রতি মাসুকুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরা চৌধুরী তার প্রবাসে অবস্থান করা দুই সৎ ছেলে মাহেরুল ইসলাম জিলানি ও মাহদি ইসলাম নাজি’র বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলেকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন ও তাকে স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ১১ ডিসেম্বর বিষয়টি শুনানীর জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির পর মাহেরুল ইসলাম জিলানি ও মাহদি ইসলাম নাজির মামা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজ গ্রামের হাজী মো. ইসমেদ আলী চৌধুরীর ছেলে আক্তার হোসেন চৌধুরী রুহেল শুনানীতে অংশ নেন। শুনানীকালে রওশন আরা চৌধুরীর দাখিল করা অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।

এ বিষয়ে মাহেরুল ইসলাম জিলানি ও মাহদি ইসলাম নাজি’র মামা আক্তার হোসেন চৌধুরী রুহেল জানান, তাদের সম্পত্তি ভোগ-ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিগণ মৌখিকভাবে বসতভিটা ও সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। কিন্তু তার ভাগনাদের সৎ মা রওশন আরা সালিশানদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যৌথ সম্পত্তি ভোগ-বিক্রি করছেন। সম্প্রতি তিনি বসতবাড়িতে থাকা গাছ বিক্রি করেন। গাছ বিক্রির বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তার ভাগনাদের বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে তাদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

এছাড়া ভাগনারা যাতে দেশে অবস্থান করতে না পারে সে জন্য তিনি একক ভাবে সহায়-সম্পতি ভোগ দখল করার হীন মানসিকতায় তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলাসহ নানা কুট কৌশল করছেন। কাগজপত্রে সম্পত্তিতে রওশন আরা ও তার ছেলে সম অংশে মালিক রয়েছেন। তাকে তো কেউ বঞ্চিত করেনি। তার ভাগনারা প্রবাসে থেকে কিভাবে তাদের সৎ মা ও সৎ ভাইকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করতে পারে- এ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

রওশন আরা চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার সৎ ছেলেরা প্রবাসে থাকার কথা স্বীকার করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততার অজুহাতে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা প্রবাসে অবস্থান করছেন। তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।