বাংলাদেশের পরিবেশ আমাকে সব সময়ই টানে : হাশিম আমলা (ভিডিও)

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২০

বাংলাদেশের পরিবেশ আমাকে সব সময়ই টানে : হাশিম আমলা (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক::

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের সিংহাসন থেকে তিনি বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু নক্ষত্র হয়ে থাকবেন আজীবন। দেশের জার্সিতে টেস্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৯২৮২)। প্রোটিয়াদের হয়ে হাঁকিয়েছেন একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি। অর্জন ও অভিজ্ঞতার ঝুলি টুইটুম্বুর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে তার পদচারণা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। সেখানেও তিনি উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। সেই আলো ছড়াতে এবার এসেছেন লাল-সবুজের বাংলাদেশে।

প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কিংবদন্তি হাশিম আমলা। খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন এবারের বিপিএল। আজ সিলেটে করলেন প্রথম অনুশীলন। অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন এই ব্যাটসম্যান। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডিও।

বাংলাদেশে স্বাগতম। বিপিএলে খেলার আগ্রহ তৈরি হলো কীভাবে?
হাশিম আমলা: আমি সব সময়ই বাংলাদেশে আসতে পছন্দ করি। এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি। ভালো সময় কাটিয়েছি। এখানকার পরিবেশ আমাকে সব সময়ই টানে। বিশেষ করে এখানকার ক্রিকেট সংস্কৃতি অসাধারণ। মাঠের ভেতরে ক্রিকেটীয় লড়াটাও দুর্দান্ত। অবসরের পর আমার হাতে সময় ছিল। আমি টি-টেন লিগে অংশ নিয়েছি, এরপর খুলনা টাইগার্স থেকে প্রস্তাব পেলাম। যেহেতু অ্যাভেইলেভেল ছিলাম। তাই তাদের প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করি।

অবসরের পর সময়টা কেমন যাচ্ছে?
হাশিম আমলা: আমি খুব উপভোগ করছি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আপনাকে নতুন কিছু শেখাবে। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমি দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। এজন্য সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। এরপর আমার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন বিপিএলে এসেছি। আন্তর্জাতিক সূচি থাকায় হয়তো এ ধরনের সুযোগ সব সময় নেওয়া হয়নি। এখন সেই সময়টা থাকায় আমি খুশি এবং আমি সময়টাও উপভোগ করছি।

খুলনা টাইগার্সের প্রস্তাব পাওয়ার পর আপনি প্রথম কী চিন্তা করেছিলেন?
হাশিম আমলা: আমি সুযোগটি লুফে নিতে মুখিয়ে ছিলাম। বিপিএল অন্য সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মতোই অভিজ্ঞ এবং জাঁকজমকপূর্ণ। প্রতিটি দেশে তার নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে। এবারের বিপিএলে নতুন কিছুর স্বাদ পেতে অবশ্যই মুখিয়ে থাকব।

দীর্ঘ সময় আপনি ক্রিকেটে ছিলেন। এখনো আছেন। আপনার কাছে ক্রিকেট আসলে কী?
হাশিম আমলা: আমি ছয় বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট উপভোগ করছি। আপনি যখন ছয় বছরের একজন বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করবেন ক্রিকেট তার কাছে কী, তখন সে উত্তর দেবে ক্রিকেট উপভোগ্য এবং ভালোবাসার কোনো বিষয়। আমি খুবই ভাগ্যবান এবং সৌভাগ্যশালী যে আমি দীর্ঘ সময় ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। আমি খেলাটাকে ভালোবাসি এবং যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা জীবন থেকে মোটেও আলাদা করা যাবে না। ক্রিকেট আমার জীবনকে সমৃদ্ধশালী করেছে এবং এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আপনি যেটা করতে পছন্দ করেন এবং সেটা করে বিশ্ব ঘুরে দেখছেন; তাহলে তো আনন্দের অবশ্যই।

অনেকেই বলছিল, আপনি দ্রুত অবসর নিয়েছেন। আপনার কী মত?
হাশিম আমলা: অবসরের সিদ্ধান্তটা হুট করেই যে নিয়েছি, তা নয়। বিশ্বকাপের পর আমার কাছের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে। আসলে আর কয়েকটা বছরই আছে আমার শরীরের। যেখানে আমি সতেজ থাকব। এ সময়টাকে আমার কাজে লাগাতে হবে। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। একটা না একটা সময় আপনাকে কোথায় না কোথাও থামতে হবে। সবকিছুরই ভালো সময় আছে এবং আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভালো সময় কাটিয়েছি। জীবন এগিয়ে যায়।

টেস্ট ক্রিকেটে আপনি সিংহাসনেই ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেট কি মিস করছেন?
হাশিম আমলা: না, টেস্ট ক্রিকেট মিস করি না। আপনি যখন প্রতিটি পর্যায়ে খেলে ফেলেছেন, তখন আপনার কোনো পিছুটান থাকার কথা না। আমি আমার অর্জনে খুশি এবং কৃতজ্ঞ। আমি আমার অভিজ্ঞতা এখন যেখানে কাজে লাগাতে পারছি, সেগুলোতে আমি অংশগ্রহণ করছি। এটা আমার জন্য নতুন অধ্যায়। আমি মোটেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিস করছি না। এখন সময় নতুন অধ্যায়ের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কোনো স্মৃতি মনে পড়ছে?
হাশিম আমলা: দুটি টেস্ট ম্যাচের কথা মনে পড়ে, বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। ১০ দিনের মধ্যে ৯ দিনই মনে হয় বৃষ্টি হয়েছিল! অদ্ভুত টেস্ট সিরিজ ছিল সেটা। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম এখানে আসি ২০০৮ সালে, আমার ওয়ানডে অভিষেক এখানেই। ভালো কিছু স্মৃতি তাই এখানে আছে। সেবার টেস্ট ম্যাচে গ্রায়েম স্মিথ ও নীল ম্যাকেঞ্জি উদ্বোধনী জুটির বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল (চট্টগ্রামে ৪১৫ রানের জুটি)। আমার তিনে নামার কথা ছিল, প্যাড পরে বসে থাকতে থাকতে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল (হাসি)।

ভিডিও দেখুন-

https://www.facebook.com/sylnewsbd2017/videos/468192013884643/

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল