দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও পুনর্মিলনী

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও পুনর্মিলনী

সিলেটের দিনকাল ডেস্ক:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ কোরিয়া শাখার আয়োজনে দলের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে শিল্পনগরী আনসান আশিয়ানা রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ কোরিয়া শাখার প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম নিল্টুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নাসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোজ প্রভাকর, সাখাওয়াত হোসেন সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান স্বপন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডেভিড ইকরাম, যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক ময়মুর সুলতান, এম এস আলী, ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুজ্জামান সাহেদ, ফরহাদ আহামেদ হৃদয়, সৈয়দ আজিম, ইয়াসির প্রমুখ। সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রথমেই আমাদের মায়ের ভাষার উপর আঘাত হানে। পূর্ব পাকিস্তানের সাধারন মানুষ সর্বক্ষেত্রেই পশ্চিমাদের বৈষম্যের শিকার হয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের কুটকৌশল বুঝতে পেরে পূর্ব বাংলার সাধারণ ছাত্রদের একটি প্লাটফরম তৈরি করার উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যার হাত ধরে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ৫২তে আমরা মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বে ৫৪তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়, ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলন, ৬৯ এ গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড হয়ে রাজপথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। অধিকার আদায় শেখাতে শেখাতে বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার মানুষকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার যে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় এ দেশের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা সুসজ্জিত পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিজয় ছিনিয়ে আনে।

স্বাধীনতা পরবর্তীতে যখন আবার স্বৈরশাসক আমাদের উপর ভর করে তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলে পতন ত্বরান্বিত করে। বাংলাদেশের সকল অর্জনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর অংশগ্রহণ ছিল এবং ভবিষ্যতেও একটি দারিদ্র্যমুক্ত দুর্নীতিমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল