শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের সন্দেহের বলি হল প্রেমিকা

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের সন্দেহের বলি হল প্রেমিকা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীঙ্গলের মির্জাপুর চা বাগানের মাঝিপাড়ার চন্দন নায়েকের কন্যা ১৫ বছরের কিশোরী চা শ্রমিক শিপা নায়েক তার প্রেমিক লিটন সাঁওতালের হাতে খুন হয়েছেন। মৌলভীবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন প্রেমিক লিটন।রবিবার রাত আট টায় শ্রীমঙ্গল থানায় এক প্রেস ব্রিফিয়ে এ কথা জানান শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান।

তিনি জানান, শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যের হাতে আটক প্রেমিক লিটন সাঁওতালকে ওই রাতে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শিপা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। লিটন সাঁওতাল জানায়, শিপা নায়েকের সাথে তার ৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। লিটনের সন্দেহ, শিপা অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে লিটন শিপার সাথে তার বাড়িতে দেখা করতে যায়। তখন বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। তাদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন হাত দিয়ে শিপাকে কানের বামপাশে ও গালে প্রচন্ড আঘাত করে। তখন সে খাটের উপর পড়ে গিয়ে তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। একপার্যায়ে শিপা নায়েক নিস্তেজ হয়ে মারা যায়। পরে লিটন শিপাকে তাদের বসত ঘরের পিছনে টিলার নিচে মাটির গর্তে রেখে গাছের পাতা ও খড়কুটা দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়।

সার্কেল এ এসপি আশরাফুজ্জামান জানান, গত শনিবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর চা বাগানের উত্তর লাইন মাঝিরপাড়া চা শ্রমিক শিপা নায়েক (১৫) অর্ধগলিত লাশ তার বসত ঘরের পশ্চিম পাশের টিলার নিচে গর্তে পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিপার লাশ উদ্ধার করে।

তিনি আরোও জানান, ‘ওই দিন নিহত কিশোরীর মা নমিতা নায়েক ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলার পর পুলিশের একটি টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ করতে থাকে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় ও শিপার মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিহত শিপা নায়েক এর প্রেমিক একই চা বাগানের উত্তর টিলার মৃত অবিনাশ সাওতালের ছেলে লিটনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। দফায় দফায় রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে শিপা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে।