১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের পরিবারের প্রতি সরকার আন্তরিক। তাদের সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করছেন সরকার। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনেক স্বচ্ছলদের নামে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী ঘর বরাদ্ধ হলেও জ্বরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আজিরুন বেগমের ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী ঘর। সরকারী দপ্তরে আবেদন করেও পাচ্ছেন না কোন ঘর। পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় মুক্তিযোদ্বা পরিবারটি জীবনযাপন করছে। রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এ করুন দর্শার চিত্র দেখা যায়। মানবিক জীবন যাপন করা মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আজরুন বেগম সরকারী ঘর বরাদ্ধ পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলা রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিক মিয়ার স্ত্রী আজিরুন বেগম ২ ছেলে ৪ মেয়েসহ ১২ জনের সংসার। বড় ছেলে জয়নাল মিয়া ১২ বছর আগে নিখোঁজ হন। দ্বিতীয় ছেলে কামাল মিয়া বিবাহিত ও স্ত্রী ছেলেমেয়ে রয়েছে। রাজমিস্ত্রী কাজ করে। ৪ মেয়ের মধ্যে ২জনের বিয়ে হয়েছে আর ২ জন অবিবাহিত। ২০০৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়া মারা যান।
আজিরুন বেগমের দ্বিতীয় ছেলে কামাল মিয়া রাজমিস্ত্রীর উপার্জিত টাকা এবং স্বামীর মাসিক ভাতা হিসাবে ১০হাজার টাকা দিয়ে ১২ সদস্যের অভাবের সংসার চলছে। পরিবার বড় হওয়ায় নিজের বসবাসকৃত ঘরটি জীর্নদশায় পরিনত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি যে ঘরে বসবাস করছে তার অবস্থা করুন। শোয়ার ঘর বলতে কিছুই নেই। যে ঘরটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি রাত কাটান, সেই ঘরটি ভাঙ্গা চুড়া ও টিনের চাল, টিনের বেড়া এবং রান্না ঘরটিও একই অবস্থা।
অথচ ‘যার জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে কমলগঞ্জে ৩ শতাধিক ঘর নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমনস্ত্রীর একটি ঘরও তার ভাগ্যে জুটেনি। আলাপকালে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আজিরুন বেগম জানান, হঠাৎ করে বাতাস বইলে ও বৃষ্টি পড়লে ঘরের চাল দিয়ে ঘরের মেঝেতে বৃষ্টি পানি পড়তে থাকে। ঝুকিঁপুর্ণ অবস্থায় ঘরটি। এক ঘরে ১২ সদস্য পরিবারটি গাদাগাদি করে জীর্ণ অবস্থায় রাত্রী যাপন করে থাকেন। জ্বরাজ্বীর্ণ এই ঘরটি মেরামতের অর্থও তাদের কাছে নেই। যদিও তিনি নিজেই একাধিকবার একটি ঘরের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলেও কোন সুফল পাননি।
স্থানীয় এলাকার আব্দুল বাছিত জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বেহালদশায় অবস্থায় বসবাস করছেন দেখে কষ্ট হয়। এটা কোন ভাবে কাম্য নয়। জনপ্রতিনিধিদের কোন নজর নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত ঘর সর্ম্পকে জানেন না। তবে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি ঘর নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করবেন। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আজিরুন বেগমের বিষয়টি এখন কিছু বলতে পারবেন না। ঘরে তালিকা দেখে বলতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমেদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D