মৌলভীবাজারে চা বাগানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে পর্যটকরা

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

মৌলভীবাজারে চা বাগানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে পর্যটকরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: 
মৌলভীবাজারে দেশী বিদেশী প্রর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ শ্রীমঙ্গলের নৈসর্গিক চা বাগানগুলো। কিন্তু কিছুদিন হলো বাগানগুলোতে প্রবেশ করতে পর্যটকদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগানের কিছু স্থানে সাইন বোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষের কারণে বাগানে প্রবেশ ও ছবি তুলতে পর্যটকদের বাঁধা দেয়া হচ্ছে।

জেলার বাগানের সবুজ সৌন্দর্য সব বয়সী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ বাগান দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। বাগানের পাশাপাশি রয়েছে লেক। যা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। লাল, সাদা শাপলা আর পদ্মফুলসহ নানা জাতের জলজ উদ্ভিদ ও পাখির কিচিরমিচির লেকগুলোকে দিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য।

পর্যটকরা জানান, চা বাগানে ঢুকতে ও ছবি তুলতে বাঁধা দেয়া হয় তাদের। কর্তৃপক্ষের বাঁধার কারণে তারা প্রবেশ না করে ফিরে যান। মাঝে মাঝে বাগানের প্রবেশমুখে দায়িত্বরতদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয় তাদের। কুলাউড়া উপজেলার রেহানা বাগানে সপরিবারে গিয়েছিলেন জনৈক আব্দুর রব। তিনি বলেন, ভোরে আমরা চা বাগানে যাই। বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের বাধা দেয়। শ্রীঙ্গলের ভুরভুরিয়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগান কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে সাইন বোর্ড টানিয়ে পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এমনকি ছবি তুলতে বারণ করছে।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি আবু সিদ্দিক মোহাম্মদ মুছা বলেন, বিশেষ করে চা বাগান দেখতে পর্যটকরা আসেন। তারা ফিরে গেলে এলাকার পর্যটন শিল্প বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উচিত সমাধান করা। বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান জি এম শিবলি বলেন, ‘চা বাগান একটি ইন্ডাস্ট্রি। এখানে সাধারণ জনগণকে ঢুকতে দিলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। গাছের ডাল বা পাতা ছিঁড়লে ক্ষতির হয়।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, আমরা শুনেছি, চা বাগানে পর্যটকদের ঢুকতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। আমরা বাগান মালিক ও ম্যানেজারের সাথে কথা বলে পর্যটকদের প্রবেশের ব্যবস্থা করবো।