জেলার কুলাউড়ায় করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মহীন নিম্নআয়ের মানুষের পাশে মানবতার লক্ষে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছুঁটে চলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু।
তিনি উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মানুষের কাছে তাঁর মানবিক কর্মের গুণে মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে অাখ্যায়িত করেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে যানবাহনসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কর্মজীবী মানুষ। যার কারণে সবাই অসহায়ত্ব জীবনযাপন করছে। সেই অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ইউনিয়নের বিত্তবান, প্রবাসী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং শোভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। এই খাদ্য সহায়তা ইউনিয়নের দেড় সহ¯্রাধিক কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে (চাউল ৫ কেজি, আলু ২ কেজি, ডাল অর্ধ কেজি, পেঁয়াজ অর্ধকেজি (৩৫০ পরিবার) ও ১টি করে সাবান দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারিভাবে ৩০০ দুঃস্থ ও কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সূত্রে জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর উদ্যোগে ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের দেড় সহ¯্রাধিক কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। আগামীকাল আরো ১৫টি ইউনিয়নে ৩৫০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। যেদিন যে গ্রামে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয় এর আগের দিন ওই এলাকায় দায়িত্বশীলদের বাড়িতে প্যাকেটজাত করনে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে মনিটরিং করছেন। যাতে প্যাকেটজাত করণে কোন অনিয়ম না হয়।
চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগকে ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসার চোখে দেখছেন। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করে তুলছেন। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের না হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন এবং সবসময় সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে ইউনিয়নের ৯০টি মসজিদে মুসল্লীদের সচেতনতার জন্য ১টি বালতি, ১ টি মগ ও ১টি করে সাবান দেওয়া হয়। জনসচেতনতায় ইউনিয়নের সকল বাজারে হাত ধৌত করারও ব্যবস্থা করেছেন।
হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই মুহুর্তে সবাই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া সরকারি নির্দেশনায় সবকিছু বন্ধ থাকায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার প্রবাসী ও বিত্তবানদের সহযোগিতায় আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা। তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের দেড় হাজার অসহায় মানুষের মাঝে মানবিকতার লক্ষে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’ এ ধরণের খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।