কমলগঞ্জে গ্রামের মসজিদগুলোতে তারাবীর নামাজে মানা হয়নি সরকারি নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

কমলগঞ্জে গ্রামের মসজিদগুলোতে তারাবীর নামাজে মানা হয়নি সরকারি নির্দেশনা

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় এবার রমজানের তারাবীর নামাজে মসজিদে ইমামসহ সর্Ÿোচ্চ ১২ জন মুসল্লী নামাজ পড়ার কথা ছিল। গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাতে প্রথম তারাবীর নামাজে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদর, শমশেরনগর বাজারের জামে মসজিদে এ নিয়ম মেনে চললেও এর ব্যতিক্রম ঘটে সবগুলো গ্রামের মসিজদগুলোতে।
এসময়ে সবগুলো হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও শনিবার ভোর থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরার সামনের একটি সাটার খোলে ভিতরে ইফতার সামগ্রী তৈরী করতে শুরু করেন হোটেল রেস্তোরা মালিকরা। পার্সেল ইফতার সামগ্রী বিক্রির কথা হোটেল রেস্তোরার মালিকরা জানালেও অনেক দোকানের সামনে সাজিয়ে বিক্রি করছেন তৈরী ইফতার সামগ্রী।
শুক্রবার বিকেলে সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়েছিল রমজান মাসে প্রতিটি মসজিদে ইমাম, মোয়াজ্জিন বা আরও এক ইমামসহ মোট ১২ জন মুসল্লীর উপস্থিতিতে তারাবীর নামাজ পড়া যাবে। আর এ নির্দেশনা সকল মসজিদ কমিটিকে মেনে চলতে হবে। তবে টিভির খবরে প্রচারনায় ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিষয়টি ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল মসজিদে অবহিত করলেও রাতে ছিল না সরকারি কোন তদারকি। শুক্রবার রাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলগঞ্জ থানা জামে মসজিদ, ভানুগাছ বাজার মসজিদ, উপজেলা প্রশাসন মসজিদ, শমশেরনগর ভিতর বাজারের বড় মসজিদে তারাবীর নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে রহিমপুর, পতনউষার, মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, কমলগঞ্জ, আলীনগর, আদমপুর, মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জামে মসজিদে নিচতলা ভরে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অন্যদিকে রমজান মাসে মিষ্টি, জিলাপি, নিমকিসহ সু-স্বাদু সামগ্রী তৈরী করে কমলগঞ্জের হাট-বাজারের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় বিক্রি শুরু করা হয়েছে। হোটেল রেস্তোরার মালিকদের কথা এগুলো পার্সেলে বিক্রি করা হবে। তবে কোথাও কোথাও দোকানের সামনে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করতেও দেখা যায়।
মসজিদে প্রচুর মুসল্লী নিয়ে তারাবীর নামাজ ও হোটেল রেস্তোরায় ইফতার সামগ্রী তৈরী করে বিক্রি সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল বলেন, করোনা প্রতিরোধে প্রধান শর্ত হলো কোথাও যেন লোক সমাগম না হয়। এজন্য মসজিদে নামাজ আদায়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার পরও মানুষজন কেন এ নিয়ম মানছেন না তা তিনি বুঝতে পারছেন না। মসজিদে ১২ জনের বেশী মুসল্লী তারাবীর নামাজে থাকতে পারবেন না। আর হোটেল রেস্তোরা খুলে ইফতার সামগ্রী তৈরীর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই দুটি বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান।