কমলগঞ্জে করোনার প্রভাব: ব্যবসার ধরণ বদলে মাস্ক ও ফল বিক্রি

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২০

কমলগঞ্জে করোনার প্রভাব: ব্যবসার ধরণ বদলে মাস্ক ও ফল বিক্রি

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শপিং মল, বিপনী বিতানগুলো ও হোটেল রেস্তোরা গত ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে কাঁচা বাজার, মোদী দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকানপাঠ বন্ধ থাকায় এসব দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। সারাদেশের মত করোনার প্রভাবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জেও এসব ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে ব্যবসার ধরণ বদল করে এখন মাস্ক ও ফল বিক্রি শুরু করেছেন।
রোববার ও সোমবার কমলগঞ্জে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় অনেক কাপড়, ব্যবসায়ী, স্টেশনারী দোকানী ও হোটেল রেস্তোরার মালিক তাদরে দোকানের সামনে মাস্ক বিক্রি করছেন। তবে বেশীরভাগ দোকানী আপেল, কলা, আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা, খেজুর, তরমুজ ও বেল বিক্রি করছেন।
আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাপড় ও স্টেশনারী পণ্য ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার আয় দিয়ে তাদের সংসার চলতো। তাছাড়া কয়েকজন কর্মচারিদের বেতন ভাতা দিতেন। গত টানা এক মাসে তারা অনকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মাঝে মাঝে তারা সকালে দোকার একটি সাটার খুলে কিছু পন্য বিক্রি করতেন। তবে প্রশাসনের অভিযানে বাধ্য হয়ে তাড়িগড়ি করে দোকান বন্ধ করে দিতে হত। আবার অভিযানে অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও দিতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এখন ব্যবসার ধরণ বদল করে মাস্ক ও ফল বিক্রি করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ভানুগাছ বাজারের স্টেশন সড়কের ব্যবসায়ী মন্দির মোদক জানান, তিনি আগে মোদী পন্যের সাথে স্টেশনালী সামগ্রীও বিক্রি করতেন। এখন বাধ্য হয়ে তার দোকানের সামনে নানা জাতের ফল বিক্রি করছেন। শমশেরনগর বাজারের মৃদুল রেস্টুরেন্টের মালিক হাজী আকমল আলী বলেন, গত এক মাস তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক লোকসানে পড়েছেন তার আয়ের এটি একমাত্র পথ ছিল। তার প্রতিষ্ঠানে ১০ জন কর্মচারীও কাজ করতেন। এখন ঠিকে থাকতে বাধ্য হয়ে গত কয়েক দিন ধরে দোকানের সামনে নানা জাতের ফল বিক্রি করছেন। আর তার কর্মচারীদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। শমশেরনগর বাজারের স্টেশনারী দোকানী জালাল শিকদার জানান, তিনি এখন ঠিকে থাকতে দোকানের সামনে মাস্ক ও ফল বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ পৌর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ চলমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র ৩ শতাধিক ব্যবসায়ীকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। আর অনেক ব্যবসায়ী ঠিকে থাকতে বাধ্য হয়ে মাস্ক ও ফল বিক্রি শুরু করেছেন।