আমদানি-রপ্তানি চালুর উদ্যোগ : ভারতীয় নাগরিকদের আন্দোলনের মুখে শুরু হচ্ছে না আমদানি-রপ্তানি

প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০

আমদানি-রপ্তানি চালুর উদ্যোগ : ভারতীয় নাগরিকদের আন্দোলনের মুখে শুরু হচ্ছে না আমদানি-রপ্তানি

 কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গত মাসাধিককাল থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অতি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে সীমিত আকারে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে ভারতের ত্রিপুরার উনকোটি জেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা ভারতের মনু ও বাংলাদেশের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি -রপ্তানি শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
অবশেষে ত্রিপুরার কৈলাশহরের মনু শুল্ক স্টেশন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভারতীয় নাগরিকরা টানা তিনদিন অবস্থান নিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু না করার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে শুক্রবার বিকেলে ঊনকোটি জেলা প্রশাসন আনন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোন প্রকার আমদানি রপ্তানি শুরু হবে না বলে আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারী ভারতীয় নাগরিকরা স্থান ত্যাগ করেন।
শনিবার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের আমদানি-রপ্তানিকারক সাইফুর রহমান, তাসদিক হোসেন, সোহেল চৌধুরী ও কাজী বদরুল ইসলাম বলেন, মরণব্যাধী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহর ও আসামের একাংশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। গত ৫ মে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশের প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর ফলে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরের মনু শুল্ক স্টেশন এলাকায় ভারতীয় নাগরিকরা অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তাদের একটি দাবি ছিল করোনা সংক্রমণকালে এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনভাবেই আমদানি রপ্তানি শুরু করা যাবে না। অবশেষে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলা প্রশাসন আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিলে আপাতত এই পথে আমদানি-রপ্তানি শুরু হচ্ছে না।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সুপাররেনটেন্ড আবুল হাসনাত চৌধুরী সাহাঙ্গীর জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে চাইলেও আপাতত প্রশাসনিক অনুমতি মিলছে না। তাই এখন চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।