করোনা সংক্রমণের মৃত্যুর ভয় নেই : কমলগঞ্জে বিপনী বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভীর

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০

করোনা সংক্রমণের মৃত্যুর ভয় নেই : কমলগঞ্জে বিপনী বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভীর

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে টানা ৪৬ দিন বিপনী বিতানগুলোর কাপড়ের দোকান বন্ধ ছিল। দোকানীদের দুর্ভোগ ও ঈদের কেনা কাটার চিন্তায় সরকারি নির্দেশনায় সীমিত আকারে গত ১০ মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত সকল দোকানপাট খোলা হয়েছে। এ সুযোগে ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সবগুলো কাপড়ের দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভির লক্ষ্য করা গেছে। মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। মঙ্গলবার কমলগঞ্জের শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
হাট-বাজার, ব্যাংক, ও কাপড়ের দোকানগুলোয় শিশু, নারী-পুরুষসহ মানুষজনের উপস্থিতি দেখে মনে হয়নি কারো মাঝে করোনা সংক্রমণের ও মৃত্যুর ভয় আছে। সবাই যেন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে নানা উদ্যোগ নিলেও তা মানছেন না বাজারে আসা ক্রেতারা। সবাই যেন উৎসব মুখর পরিবেশে কেনাকাটা করছেন। আর পরিচিতজনদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
শমশেরনগর কয়েকটি বিপনী বিতানের দোকানীরা বলেন, টানা ৪৬ দিন তাদের দোকানপাট বন্ধ থাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখন ঈদকে সামনে রেখে সরকার সকাল ১০টা থেকে বিকার পর্যন্ত দোকান খোলার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার তাই তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা আরও বলেন, আগত সকল ক্রেতাদের বলছেন ভিড় না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাপড় কিনতে। কিন্তু কোন ক্রেতারা এ নির্দেশনা মানছেন না।
কাপড়ের দোকানে আসা কয়েকজন নারী ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। এসময়তো ছেলে-মেয়েসহ বাড়ির সবার জন্য জামা কাপড় কিনতে হয়। আর বিশেষ করে শিশুদের জন্য হলেও বাজারে এসে কাপড় কিনতে হচ্ছে। আর সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে বলেন প্রচুর ক্রেতার মাঝে এ দূরত্ব বজায় রাখা সম্বভ নায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন,যারা কাপড়সহ পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে আসছেন তাদের স্বাস্থ্য বিদি মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলে বাজার পর্যবেক্ষণকালে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।