শ্রীমঙ্গলে যুবকের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

শ্রীমঙ্গলে যুবকের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি
শ্রীমঙ্গলে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে দীর্ঘ (৫ বছর) ধরে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে আসতেছে। এজাহার ও বাদী সূত্রে  জানা যায়, সালমা আক্তার (২৭) স্বামী মোঃ জুয়েল মিয়া, সাং ইসলামাবাদ বালুরচরে স্বামীকে  নিয়ে দীর্ঘদিন শ্রীমঙ্গল  মিশন রোডস্থ  বাসা ভাড়া করে ঘর-সংসার করছিলেন। হঠাৎ করে কুনজর পরে সালমা আক্তারের উপর, এলাকার প্রভাবশালী লম্পট ছাদ কমিশনারের, ভাই আরাফাত হোসেনের, বলে অভিযোগ করেন সালমা আক্তার শ্রীমঙ্গল থানায়।
আমাদের প্রতিনিধিকে ভিকটিম জানান সালমা বেগমের স্বামীর বাড়ি হবিগঞ্জ হওয়ার সুবাদে, সালমা আক্তারের স্বামী জুয়েল এর কোন আত্মীয়-স্বজন,  শ্রীমঙ্গলে না থাকার কারণে, বিবাদী আরাফাত হোসেন এলাকার প্রভাবশালী কাউন্সিলর ছাদ হোসেনের আপন ছোট ভাই হওয়ার  কারণে তাহার সাঙ্গোপাঙ্গ লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমার স্বামীকে ভয়-ভীতি ও প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে বিতাড়িত করে। পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে তাহার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হই তারপর লম্পট আরাফাত হোসেন ভিকটিম সালমাকে  মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিবাহ করিবে বলে তাহার বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং আমরা দীর্ঘ (৫) বছর যাবত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একসাথে রাত্রিযাপন, ও  সংসার, করে আসতেছি।
বিভিন্ন সময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় অতিবাহিত করে, এবং বারবার বিবাহ করিবে বলে আশ্বাস দেয়। সালমা আক্তার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করে বলে জানান আমাদের প্রতিনিধিকে আরও জানা যায় চাকুরীর বেতন এর সম্পূর্ণ টাকা বিশ্বাস করে  আরাফাত হোসেন এর হাতে তুলে দেন। যদি টাকা না দেওয়া হতো  লম্পট আরাফাত হোসেন  সালমা আক্তারকে শারীরিকভাবে  নির্যাতন করা হতো । গত ১১-০৭-২০২০ তারিখে, রাত্রি অনুমান (১১ ঘটিকার সময়   সালমা আক্তারের কাছে রাখা আরাফাত হোসেনের, ও সালমা আক্তারের, বেশ কিছু ছবি সহ, সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট, জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে  নিয়ে যান। এবং  সালমা আক্তারকে বিয়ে করবেনা  বলে মারপিট করিয়া বাসা থেকে চলে যায়। বাদী সালমা আক্তার আরো জানান বিবাদী আরাফাত হোসেন একজন লম্পট , অনেক নারীর সংসার নষ্ট কারক, মেয়েদের সাথে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে, পালিয়ে যায়। শুধু একজন , পৌরকাউন্সিলর, ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার,  সুবাদে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এই ঘটনা সম্বন্ধে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালেক এর সাথে মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন রিসিভ করেন নি পরবর্তীতে তদন্ত ওসি সোহেল রানার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই আলমগীর হোসেনকে।
মোবাইল ফোনে এব্যাপারে আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবেন এবং মামলা রেকর্ড করবেন। এই রিপোর্ট লিখতে গিয়ে আমাদের প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, শ্রীমঙ্গল মিশন রোডস্থ স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে  অভিযোগের  সত্যতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলে উনারা জানান। আরাফাত হোসেন গংরা শুধু নারী সর্বনাশকারী নয় ওরা মানুষের ভূমি দখলকারী কিছুদিন আগেও ভুমি দখলের একটি  সালিশ লুলু হাজির বাসায় বৈঠক হয় বলে জানা যায়।