২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্যক্তিমালিকানাধীন লই চা বাগান ীর্ঘ ২৮দিন ধরে বন্ধ থাকা বাগান চালু এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নামে ায়েরকৃত মিথ্যা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করার াবিতে লই বাগান থেকে প্রায় ১৮ কি:মি: পথ লংমার্চ করে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে ড়েঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে চত্বরে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
লই চা বাগান বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগষ্ট বাগান চালু নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে শ্রমিকরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, চা শ্রমিক নেতাসহ ১৩ জন চা শ্রমিকের নামে মারপিট, গাড়ি ভাঙ্গচুর ও টাকা ছিনাইয়ের অভিযোগে থানায় মামলা করেন লই চা বাগান কোম্পানীর এজিএম খালে মঞ্জুর খান। মামলার প্রতিবাদে ও বাগান বন্ধের প্রতিবাদে দলই চা বাগান শ্রমিকরা সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. ূরে লই চা বাগান শ্রমিকরা সোমবার সকাল ১০টায় পায়ে হেঁটে মিছিল সহযোগে ুপুরের পর কমলগঞ্জ উপজেলায় চৌমুহনায় পৌঁছায়। উপজেলা চৌমুহনায় নারী শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানুর নেতৃত্বে তিন শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে ও বিক্ষোভ প্রর্শন করে। দেড়ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর তারা উপজেলা প্রশাসনের সম্মুখে অবস্থান নেয়।
নারী চা শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানুসহ লই চা বাগান শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোতিভাবে মামলা দিয়ে লই চা বাগান মালিক পক্ষ শ্রমিকরে হয়রানি করতে চায়। চা বাগান কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবে গত ২৭ জুলাই বাগান বন্ধ করেছে। এটি কোনমতেই কাম্য নয়। ীর্ঘনি ধরে চা বাগান শ্রমিকরা অনাহার, অর্ধাহারে দিনযাপনের অভিযোগ তুলে শ্রমিকরা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও লই চা বাগান চালুর াবি জানান।
এদিকে গত ২৮ দিন যাবৎ কমলগঞ্জের লই চা-বাগান বন্ধ। এরই ভেতর ুই নারী শ্রমিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ নিয়ে থানায় যান চা-শ্রমিকরা। কিন্তু কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে লই চা-বাগান কর্তৃপক্ষের মামলা নিয়েছে পুলিশ। লই চা বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক সেতু রায় বলেন, ‘এজিএম কর্তৃক ুই নারী চা-শ্রমিক লাঞ্চিত হয় গত ১৯ আগস্ট। আমরা মামলা দিতে যাই। কিন্তু, মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো পুলিশ বলেছে আমরা কারো মামলা নেবো না। এই বলে আমারে ফেরত পাঠিয়েছে। অথচ শনিবার রাতে শুনলাম চা-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মধ্যস্থতায় লই চা-বাগানে স্বাভাবিক কার্যক্রম ১৯ আগস্ট থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। ীর্ঘদিন পর লই চা-বাগানের উৎপান কার্যক্রম পুনরায় সচল হওয়ায় তিনি (এজিএম খালেদ মঞ্জুর খান) কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ১৯ আগস্ট সকাল ১১টায় তদারকি কাজে চা-বাগানে গিয়েছিলেন। সে সময় চা-বাগানের ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বাগানের সব কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন ও মজুরি পরিশোধের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে যান তিনি। তখন মামলার সব আসামিরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে লবদ্ধ হয়ে কোম্পানির জিপ গাড়ির গতিরোধ করে। সে সময় এক নম্বর আসামির নির্দেশে বাকি আসামিরা গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন। আসামিরা তাকে জোরপূর্বক টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে জখম করে। আসামিরা গাড়িতে রাখা ব্যাগের ভেতর রাখা ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আসামিরা একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। পরে তিনিসহ আহতরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ফলে ঘটনার দুই দিন পর শনিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি চা-শ্রমিক নেতা ও মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে লই চা-বাগানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ মামলার বাী খালেদ মঞ্জুর খান বাগানের ুই নারী চা-শ্রমিককে লাঞ্চিত করায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট-পাটকেল মেরে জিপ গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে। এর চেয়ে বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখন যাতে অনাহারে থাকা চা-শ্রমিকরে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিতে হয়, সেজন্য ঘটনার ুই নি পর পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজিয়েছেন। অথচ ঘটনার পর লাঞ্চিত নারী চা-শ্রমিকরা কমলগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলেও থানা সে অভিযোগ গ্রহণ করেনি।’
তবে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কমলগঞ্জ থানার এসআই সিরাজুল ইসলামকে।’ শ্রমিকদের মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে ওসি বলেন, ‘এই অভিযোগ মিথ্যা। তারা অভিযোগ নিয়ে আসেনি।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D